Posts

দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল জাতীয় পার্টি

Image
  জাতীয় পার্টির মহাসচিব (একাংশ) মুজিবুর রহমান চুন্নু বলেছেন, আমরা দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কোনো বেআইনি কাজ করিনি। যদি নৈতিকভাবে কোনো ভুল হয়ে থাকে, কোনো ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে এই কাউন্সিলে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। শনিবার (৯ আগস্ট) ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ১০তম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন। চুন্নু বলেন, গত প্রায় চার বছর আমি জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে ছিলাম। ভুলভ্রান্তি আমার থাকতে পারে। যে সমস্ত ভুল ভ্রান্তি ছিল, সেগুলো আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে আমি দেশবাসীর কাছে একটি কথাই বলব, আমরা রাজনীতি করতে গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে সব সময় হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বিগত অনেকগুলো নির্বাচন করেছি। অনেক সময় অনেকে আমাদের বিভিন্নভাবে কটূক্তি করেন, বিভিন্ন দলের সহযোগী বা স্বৈরাচার সহযোগী হিসেবে আমাদের আখ্যায়িত করেন। জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব। জাতীয় পার্টি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করার দল, জাতীয় পার্টি একটি আধুনিক গণতন্ত্রমনা মড...

কলকাতায় আওয়ামী লীগের অঘোষিত ‘পার্টি অফিস’

Image
  ভারতের কলকাতায় নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ, সভা পরিচালনার জন্য অঘোষিত ‘পার্টি অফিস’ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কলকাতার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা উপনগরী একটি বাণিজ্যিক ভবনে এই অফিস রয়েছে এবং সেখানে আওয়ামী লীগের লোকজনকে যাতায়াতও করতে দেখা গেছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে কয়েক মাস ধরে যাতায়াত করছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতারা। সেখানেইই ‘দলীয় দফতর’ খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। তথ্যসূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগে কয়েক মাসে পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই। বড় বৈঠকের জন্য রেস্তোরা বা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করতে হতো। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট 'পার্টি অফিস' দরকার ছিল বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসটিতে পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের মতো জায়গা রয়েছে। তবে দেখে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই এটি আওয়ামী লীগেরই অ...

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জন্য মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তের পথে

Image
  দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর বলেন, দ্বীপটির জন্য একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প আয়ের উপায় নির্ধারণের কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দ্বীপটির প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য (দ্বীপের প্রকৃতির ক্ষতি কমিয়ে আবার সুস্থ ও জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে) সেখানে পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মন্ত্রণালয় বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে। দূষণ কমাতে সারা দেশের শপিংমলগুলোতে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। পলিথিন উৎপাদন কারখানা, কাঁচাবাজার ও অন্যান্য স্থানে এর ব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলছে। পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সাশ্রয়ী মূল্যে পাটের ব্যাগ...

সাংবাদিক তুহিন হত্যার যে কারণ জানাল পুলিশ

Image
  গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যে মোবাইলে ভিডিও ধারণের বিষয়টিকে দায়ী করেছে পুলিশ। তাদের দাবি চাঁদাবাজি নয়, বাদশা নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনা ভিডিও ধারণ করায় খুন হন তুহিন।  গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল ইসলাম এ দাবি করেন।  অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে তুহিনকে মৃত অবস্থায় পাই। আমাদের তদন্তের প্রয়োজনে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে আমরা দেখতে পাই, একজন নারী রাস্তায় একজন পুরুষের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। সে সময় একজন পুরুষ, একজন নারীকে আঘাত করেন। আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীর পূর্ব পরিচিত ৪-৫ জন চাপাতিসহ এসে ওই পুরুষকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে ওই পুরুষকে আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি। পারে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই পুরুষ জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে আছেন। তার নাম বাদশা মিয়া। মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা তার মাধ্যমে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ওই ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবা...

মোহাম্মদপুর থেকে কলিমুল্লাহ গ্রেফতার

Image
  রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক তদন্তাধীন একটি মামলায় দুদকের রিকোজিশন ছিল। সেটির ভিত্তিতে গোয়েন্দা কার্যক্রমে পরিচালনার মাধ্যমে মোহাম্মদপুরে নিজ বাসা থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুদকের কাছে তাকে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়া ধীন। Countdown Timer 00:01

মৃত্যুর আগে যা বলেছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান

Image
  সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ মারা যাওয়ার আগে নিজের শেষ ৩টি ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। মাসখানেক আগে সাবেক এই সেনাপ্রধান তার বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বাহারকে এ ইচ্ছার কথা জানান। তার মৃত্যুর পর সেসব ইচ্ছার কথা এম হারুন-অর-রশিদের সেজো বোনের জামাতা ডাক্তার জহির গণমাধমের সামনে প্রকাশ করেন। চট্টগ্রাম ক্লাবে গেস্ট হাউসে ডাক্তার জহির গণমাধ্যমকে জানান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বাহার তাকে ফোন করে প্রথম সাবেক সেনাপ্রধানের মৃত্যুর খবর জানান। তখন তিনি বলেছিলেন, মাসখানেক আগে হারুন তার শেষ ৩টি ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। ওই তিন ইচ্ছা হলো - ১) মৃত্যুর পর তার মরদেহখানা দাফন করতে যাতে দেরি না করা হয়, ২) পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার পাশে যেন তাকে দাফন করা হয় এবং ৩) মৃত্যুর পর তার মরদেহকে রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মান দেওয়া না হয়। ডাক্তার জহির বলেন, আমি উত্তরে কর্নেল বাহারকে সাবেক সেনা প্রধানের শেষ ৩টি ইচ্ছে তার সহধর্মিণী ও মেয়েকে জানাতে অনুরোধ করি। জানা গেছে, ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি মামলায় হাজিরা দিতে রোববার চট্টগ্রাম আসেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ। পরে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট...

সমন্বয়ক কাদের, মাহিন ও আরমানকে ধন্যবাদ জানাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

Image
  শিবিরের যে সকল ছেলেরা ছাত্রলীগে গুপ্ত আকারে প্রবেশ করতো তারাই বেশি আগ্রাসী ছিল। হলে হলে ছাত্র নির্যাতন, শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিবির থেকে আগত ছাত্রলীগরাই সম্মুখ সারিতে থাকতো’- সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। তার এ বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন আরেক সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা মাহিন সরকার। এছাড়া এতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন আরমান হোসেন নামে আরও এক সাবেক সমন্বয়ক। শিবিরের বিরুদ্ধে তিনজনের এই অবস্থানকে সাদরে গ্রহণ করে ধন্যবাদ জানিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটি বলছে, সমন্বয়ক কাদের, মাহিন ও আরমান খুব গুরুত্বপূর্ণ স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা তারা (ছাত্রলীগ) বছরের পর বছর অভিযোগ করে আসছিল। তারা (ছাত্রলীগ) বলছে, এই সত্যগুলো প্রকাশ করার জন্য তাদেরকে (সমন্বয়ক) ধন্যবাদ। গতকাল শনিবার (২ আগস্ট) নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস লীগ’ নামক অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই তিনি সমন্বয়কের শিবির নিয়ে করা মন্তব্যগুলোর স্ক্রিনশট ‍যুক্ত করে তাদেরকে ধন্যবাদ জা...